
পি কে অলোক,ফকিরহাট//
বাগেরহাট সদর উপজেলার চুলকাঠি বাজারের ডিম ব্যাবসায়ী মোঃ মোসলেম মোড়ল ডিমের ব্যাবসা করে এখন
আগের চেয়ে অনেক স্বাবলম্বি হয়েছেন। করোনা কালিন সময়ে নানা প্রতিকুলতার মধ্যেও তিনি এখন একজন সফল
ডিম ব্যাবসায়ী হিসাবে এই বাজারে ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করেছেন। জানা গেছে, রাখালগাছি ইউনিয়নের
সুনগর গ্রামের আব্দুল খালেক মোড়লের পুত্র মোঃ মোসলেম মোড়ল চুলকাঠি বাজারের একজন ডিম ব্যাবসায়ী। এর
আগে তিনি কাঠের ব্যাবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু সে ব্যাবসায় চরম আকারে লস খাওয়ায় সে
ব্যাবসা ছেড়ে দিয়ে স-মিলে শ্রমিকের কাজ করতেন। কিন্তু সেখানে শ্রমিকের কাজ করে যা আয় হতো তা দিয়ে
তার সংসার চালানো অসম্বব হয়ে পড়েছিল। তাই তিনি সে কাজ ছেড়ে দিয়ে বিভিন্ন গ্রাম হতে হাঁস মুরগীর
ডিম সংগ্রহ করে চুলকাঠি মাছের বাজারের পাশের্^ ছোট্ট একটি কুড়ে ঘর নিয়ে সেখানে ব্যাবসা পরিচালনা
করে আসছেন। সেই ডিমের ব্যাবসা হতেই তিনি আজ স্বাবলম্বি হয়েছেন। স্থানীয়রা বলেছেন, ফকিরহাটের
বেতাগা ইউনিয়নের বেতাগা মাসকাটা ধনপোতা ৬০তলা বিঘা ও চাকুলী, শুভদিয়া ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর কচুয়া
ভাংগনপাড় ৮৪মোড় বড় শুভদিয়া, রাখালগাছি ইউনিয়নের সুনগর, পাইকপাড়া কাড়াখালী সিএন্ডবি করোরী, খানপুর
ইউনিয়নের দক্ষিনখানপুর পোলেরহাট সহ বিভিন্ন এলাকা হতে পল্টি খামারীরা ডিম নিয়ে তার দোকানে আসেন।
সেই ডিম তিনি ক্রয় করে খুলনা বাগেরহাট পিরোজপুর মাদারীপুর টেকেরহাট গোপালগঞ্জ মোংলা রামপাল সহ
বিভিন্ন স্থানে পাইকারী দরে বিক্রয় করেন। ফলে এলাকার পল্টি ব্যাবসায়রা প্রতিদিন হাজার হাজার ডিম নিয়ে তাঁর
এখানে বিক্রয় করতে আসেন। পল্টি মালিকরা বলেন তিনি সঠিক মূল্যে ডিম ক্রয় করেন। যে কারনে এলাকার পল্টি
মালিকরা সবাই তার কাছে ডিম বিক্রয় করেন। প্রতি সপ্তাহে তার দোকান হতে ৫০/৬০হাজার ডিম দেশের বিভিন্ন
স্থানে রপ্তানী হয়ে থাকে। ডিম ব্যাবসায়ী মোঃ মোসলেম মোড়ল এর সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, নিজের যদি
ইচ্ছা থাকে তাহালে অসাধ্যকে সাধ্য করা সম্ভাব। ##
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন